কলকাতা টু দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস রাজধানী এক্সপ্রেসে কয়েকবার ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছে। সময় মেনে চলাচল করে, খাবার-দাবার ভালো। কিছুক্ষণ পর পর ট্রেনের স্টুয়ার্ডদের ভেজ—ননভেজ সুমধুর আওয়াজে বাচ্চারা সচকিত হয়ে ওঠে। তাদের আকর্ষণ নন-ভেজের দিকে। বড়দের কেউ কেউ কৌতুহলবশত ভেজের স্বাদ গ্রহণের জন্য অর্ডার দেয়। বাংলাদেশের সমাজে, বিশেষ করে মুসলিম সমাজে, খাদ্যদ্রব্য ভেজ ননভেজ বিভাজন প্রথা নাই বললে চলে। প্রায় সবা এরই সর্বভুক। তাই, ভেজ-ননভেজ কথাগুলো মনের কোণে স্থান করে নেয়। দেশে ফিরে এসে খেতে বসে কিছুদিন নিজেরাও মজার ছলে মাস খানেক ভেজ ননভেজ শব্দদ্বয় ব্যবহার করতে থাকি।
রাজধানী এক্সপ্রেসে কয়েকবার ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছে। সময় মেনে চলাচল করে, খাবার-দাবার ভালো। কিছুক্ষণ পর পর ট্রেনের স্টুয়ার্ডদের ভেজ—ননভেজ সুমধুর আওয়াজে বাচ্চারা সচকিত হয়ে ওঠে। তাদের আকর্ষণ নন-ভেজের দিকে। বড়দের কেউ কেউ কৌতুহলবশত ভেজের স্বাদ গ্রহণের জন্য অর্ডার দেয়। বাংলাদেশের সমাজে, বিশেষ করে মুসলিম সমাজে, খাদ্যদ্রব্য ভেজ ননভেজ বিভাজন প্রথা নাই বললে চলে। প্রায় সবা এরই সর্বভুক। তাই, ভেজ-ননভেজ কথাগুলো মনের কোণে স্থান করে নেয়। দেশে ফিরে এসে খেতে বসে কিছুদিন নিজেরাও মজার ছলে মাস খানেক ভেজ ননভেজ শব্দদ্বয় ব্যবহার করতে থাকি। তারপর ধীরে ধীরে স্মৃতিপট থেকে বিদায় নেয়।
রাজধানী এক্সপ্রেসর ভাড়া তেমন কিছু বেশি নয়। নতুন নতুন লোকের সাথে পরিচয় হয়, গাল গল্প বিনিময় হয়। এপার ওপার যেখানেরই হোক, বাঙালি হলে তো কথাই নেই। রীতিমতো আড্ডা জমে ওঠে। সব মিলিয়ে রাজধানী এক্সপ্রেসে ভ্রমণ করা উপভোগ করি।
প্যারিস টু লন্ডন ইউরো স্টার
ইউরোপে একবারই ট্রেনে ভ্রমণ করেছি, প্যারিস থেকে লন্ডন। ট্রেনের নাম ইউরো স্টার। ইউরোপের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের গ্রামীণ দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়। বাড়তি হিসাবে ইংলিশ চ্যানেলের নিচে পৃথিবীর বৃহত্তম টানেলের ভিতর দিয়ে থ্রিল অনুভব করা যায়।
কাছে ধারে ইংরেজ সহযাত্রী হলে মুখে খিল লাগিয়ে বসে থাকে। কেউ পরিচয় না করে দিলে ইংরেজদের স্বভাব স্পিকটি নট। তবে, উদ্যোগ নিয়ে আলাপে টেনে আনলে কথা বলে আরাম পাওয়া যায়। তাদের কথাবাত্রা ভদ্রতার ছাপ থাকে।
ফরাসি সহযাত্রী হলে আলাপ-আলোচনা তেমন জমতে চায় না। ইংরেজি জানলেও সে ভাষায় কথা বলতে চরম অনীহা। ইংরেজদের সাথে তাদের বৈরিতা চিরদিনের। সে ভাষায় কথা বলতে আত্মাভিমান চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
চলার পথে অনেক ইতিহাস বিখ্যাত স্থান দৃষ্টিগোচর হয়। মন চলে যায় সুদূর অতীতে রাজা, লর্ড, ব্যারন, নাইট এবং তাদের অত্যাচারে জর্জরিত কৃষক-শ্রমিকের বিচরণ ক্ষেত্রে।
নিউইয়র্ক টু ওয়াশিংটন আ্যম ট্র্যাক
বার দুয়েক নিউইয়র্ক-ওয়াশিংটন রুটে ভ্রমণ করেছি। ট্রেনের নাম আ্যমট্রাক। এক ঝলক আমেরিকার মফস্বল অঞ্চলের ঘরবাড়ি হাট-বাজার কৃষি খামার দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। টাকার হিসেবে ভাড়া অবশ্য আমাদের কাছে বেশি মনে হয়।
আমেরিকানরা দিলখোলা মানুষ। অচিরেই সহযাত্রীদের সাথে হাসি ঠাট্টা আলাপ আলোচনায় মেতে ওঠে। সময়টা বেশ ভালো কেটে যায়।
ঢাকা টু চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন
বাংলাদেশে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ভ্রমণ বেশ উপভোগ্য। বাঙ্গালীদের যা স্বভাব, অল্প সময়ের মধ্যে কামরার যাত্রীদের মধ্যে আড্ডা জমে উঠে। পরস্পরের হাঁড়ির খবর, টেলিফোন নম্বর, ঠিকানা বিনিময় হয়। গল্পে সল্পে সময় বেশ কেটে যায়। নুডুলস স্যান্ডউইচ ভাগাভাগি হয়।
ভ্রমণ শেষে বিদায় বেলায় চোখের কোণে জলীয়বাষ্পের আভাস ফুটে ওঠে। অনেক সময় পরিচয় থেকে বিবাহ-শাদী পর্যন্ত গড়ায়।
Dhaka Chittagong express train