নাস্তিক বনাম কাউবয়
পশ্চিমা বিশ্বে নাস্তিকতা একটা ফ্যাশন হয়ে উঠেছে, নাস্তিকতার অনুসারীরা জ্ঞানীগুণী বলে দম্ভ করতে পছন্দ করেন। তার ঢেউ তৃতীয় বিশ্বেও পৌঁছে গেছে। এ সম্পর্কে খোদ আমেরিকারই একটা কৌতুক শোনা যাক।
প্লেনে একজন নাস্তিকের সিট পড়েছে ধুলা ধুসরিত কাপড়-চোপড় পরা একজন বয়স্ক কাউবয়ের পাশে। বাংলাদেশে আমেরিকার মত কাউবাই নেই, তার লাগসই প্রতিশব্দও নেই। রাখাল বলা যায়, কিন্তু আমাদের রাখালরা কাউবয়দের মতো স্মার্ট নয়।
নাস্তিক কাউবয়ের কাছে প্রস্তাব রাখল, তোমার কি আমার সাথে আলাপ করার ইচ্ছা আছে? সহযাত্রীদের সাথে সালাপ করলে সময়টা ভালোভাবেই কেটে যায়।
আমাদের স্মার্ট রাখাল সবেমাত্র পড়ার জন্য একটা বই খুলে বসেছে, জিজ্ঞেস করল, কি নিয়ে আলাপ করতে চান?
নাস্তিক মহাশয় মুচকি হেসে আত্মতুষ্টি অনুভব করে অবজ্ঞাভরে বলল, না এমন কিছু বিষয় মনে আসছে না, তবে যদি আমি বলি কোন সৃষ্টিকর্তা নেই, স্বর্গ-নরক নেই, মৃত্যূর পর পরকাল বলে কোন কথা নেই, সে সম্পর্কে তোমার কি অভিমত?
রাখাল দমবার পাত্র নয়। বলল, বেশ ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন, তবে আপনাকে শুরুতেই একটা প্রশ্ন করতে চাই। ঘোড়া, গরু এবং হরিণ একই খাদ্য খায়, ঘাস। তবুও হরিণ ছোট ছোট গোল মার্বেলের মতো হাগু করে, গরু তাল তাল চ্যাপ্টা গোবর নিঃসরণ করে, কিন্তু ঘোড়া গুচ্ছ আকারে মলত্যাগ করে। তুমি এর কি ব্যাখ্যা দিবে?
নাস্তিক রাখালের বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে গেল।”হুমম, আমার জানা নেই”।
এবার রাখাল বলল,তোমার মল মূত্র সম্পর্কেই জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি কি করে মনে করো ঈশ্বর স্বর্গ-নরক অথবা পরকাল সম্পর্কে তোমার কথা বলার যোগ্যতা আছে।
“Do you really feel qualified to discuss God, Heaven and Hell, or life after death, when you don’t know shit?”
