এনসাইক্লোপিডিয়া–encyclopaedia—এক কথায় বলা যায় সর্ব জ্ঞানের আধার বা পুস্তক। এক কথায় “বিশ্বকোষ”।
বিশ্বকোষের দুনিয়ার তাবৎ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। বিখ্যাত ব্যক্তি, আবিষ্কারক, সেনাপতি, রাজা, মহারাজা, নদী, পর্বত, সমুদ্র, সভ্যতা, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী—সব কিছুই অনেকগুলো খণ্ডে বর্ণানুক্রমে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পড়াশোনা গবেষণাকর্ম লেখার জন্য বিশ্বকোষ অপরিহার্য সাহায্য পুস্তক।
ইংরেজি ভাষায় বিশ্বকোষ প্রণয়নের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ব্রিটেন। তাদের প্রণীত Encyclopaedia Britannica বিশ্বব্যাপী প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসাবে সমাদৃত। প্রায় আড়াইশো বছর আগে স্কটল্যান্ড এর রাজধানী এডিনবরায় ৩ খন্ড হিসাবে ১৭৬৮ থেকে ১৭৭১ সাল নাগাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সংস্করণগুলো বৃদ্ধি পেতে পেতে ২০ খণ্ডে যেয়ে পৌঁছায়। প্রায় ১০০ জন সম্পাদক এবং কয়েক হাজার কন্ট্রিব্যটর বা অংশগ্রহণকারী বিশ্বকোষটি প্রণয়নে সাথে জড়িত ছিলেন।
এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, সৌজন্যেঃ গুগল
বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের দাপটে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকাও গুরুত্ব অনেকখানি হারিয়েছে। ২০১২ সালে প্রকাশকরা ঘোষণা দেয় তারা ভবিষ্যতে বিশ্বকোষের ছাপানো সংস্করণ বের করবে না। অনলাইন থেকে ইচ্ছুক ব্যক্তিবর্গ ব্যবহার করতে পারবেন।
শুনতে অবাক লাগতে পারে, বিশ্বকোষ প্রণয়নের সূত্রপাত ঘটে সতের’শ বছর আগে সভ্যতার অন্যতম সূতিকাগার চীন দেশে। তৃতীয় শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী নাগাদ চীনের পন্ডিত বর্গ ও আমলারা মিলে ৬০০ চাইনিজ স্টাইলে বিশ্বকোষ প্রণয়ন করেন। তার প্রায় দু’শটি এখনো টিকে আছে এবং প্রায় ২০ টি ঐতিহাসিকরা ব্যবহার করে থাকেন।
চীনা বিশ্বকোষ এর নমুনা, ফটো সৌজন্যেঃ গুগল
পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজবংশের নির্দেশে চীনারা বিশ্বকোষ প্রণয়ন করতে থাকে। কিং (Qing) রাজবংশের সময় প্রণীত বিশ্বকোষে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার তুলনায় তিন চার গুণ বেশি তথ্য সন্নিবেশ করা রয়েছে। চীনের বিশ্বকোষ শুধু তথ্য ভান্ডার নয় বরং অভিধানও বটে।
