সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সঙ্গতি রেখে আদিম যুগের মানুষের নির্মিত কয়েকটি ঘরবাড়ির চিত্র দেখা যেতে পারে।
প্রাথমিক যুগের ঘরবাড়ি
প্রাথমিক পর্যায়ের পরে উন্নত ঘরবাড়ি।
দৈনন্দিন কর্মরত মানুষ
মানুষ দিনক্ষণ পঞ্জিকা দেখে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর বানানো শুরু করেনি। প্রকৃতি থেকে তৈরি করা পাহাড়ের গুহা ছিল তাদের প্রধান বাসস্থান। সেখানে তারা আশ্রয় নিয়ে আশেপাশের বন জঙ্গল থেকে শিকার করে অন্নবস্ত্রের সংস্থান করত। জঙ্গলের পশু পাখি কমে আসতে থাকলে তারা বাসস্থান গুটিয়ে অন্য কোথাও রওনা দিত। তাদের সম্পর্কে কাল্পনিক কাহিনী অবলম্বনে রাহুল সাংকৃত্যায়ন হিন্দি ভাষায় ভলগা সে গঙ্গা নামের একটা উত্তম কিতাব রচনা করেছেন। জনপ্রিয় এ পুস্তকে তিনি ভলগা নদীর অববাহিকায় আর্য সমাজের শুরুর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছেন। বিভিন্ন যুগ পেরিয়ে তারা ভারতীয় উপমহাদেশে নয়া বৈদিক যুগের সূচনা করেন। তার প্রতিধ্বনি শোনা যায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায়, “হেথায় আর্য, হেথা অনার্য, হেথায় দ্রাবিড় চীন—শক-হুন-দল পাঠান-মোগল এক দেহে হল লীন”।
যাহোক, ক্রমশ মানুষ ক্রমশ কৃষি কাজ শিখে ফেলে, সে সাথে পশু পালন। যাযাবর বৃত্তি ছেড়ে ঘর বাঁধার তাগিদ অনুভব করে নয়া প্রস্তর যুগে।
ইতিহাস ঘেঁটে যতটুকু জানা যায়, টাইগ্রিস ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যখানে বর্তমান ইরাকের মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে এক যাযাবর জাতি আশেপাশে থেকে এসে fertile crescent নামে খ্যাত মেসোপটেমিয়ার উর্বর জমিতে চাষাবাদ শুরু করে আজ থেকে আনুমানিক ৮ হাজার বছর আগে। তাদের বংশ পরিচয় আর্য বা সেমিটিক নয়, ভিন্ন নৃগোষ্ঠী।
- ইউফ্রেটিস টাইগ্রিস দুই নদীর মধ্যখানে শুরু হয় চাষাবাদ ঘর বাঁধা এবং সূচনা সভ্যতা। এ ছোট নদীকে আমাদের কাছে দজলা ফোরাত নামে পরিচিত।
তখন থেকেই ঘর বানানোর কালচার শুরু হয়। সেখানেই খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ থেকে ৪০০০ বছরের সময়কালে দুনিয়ার বুকে প্রথম সভ্যতার সূচনা করে। সে সভ্যতার নাম সুমেরীয় সভ্যতা।
প্রাচীন যুগের উন্নত ঘরবাড়ি
সভ্যতার সূচনা লগ্নে সুন্দর ঘর বাড়ি