
পারস্য সাম্রাজ্যের পতনের কারণ মহা পরাক্রমশালী আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট।
আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট।
ইউরোপের গ্রীস ও এশিয়ার পারস্য সাম্রাজ্যের মধ্যে বৈরিতা ছিল চিরদিনের। এক বার পারস্য সাম্রাজ্য গ্রিস আক্রমণ করে অন্য বার গ্রীসরা পারস্য সাম্রাজ্যে। যুদ্ধের পাল্লা ভারী ছিল প্রবল পরাক্রমশালী পারস্য সাম্রাজ্যের।আলেকজান্ডারের বাবার স্বপ্ন ছিল পারস্য সাম্রাজ্য অধিকার করা। কিন্তু হঠাৎ এক গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হবার পর তার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায়। আলেকজান্ডার মাত্র ২০ বছর বয়সে সিংহাসন আরোহন করেন
মাত্র ৩২ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে ইউরোপের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের পাঞ্জাব পর্যন্ত এক বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তার যুদ্ধকৌশল, বুদ্ধিমত্তা, নয়া অস্ত্রশস্ত্র তাঁকে যুদ্ধের ময়দানে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিল। তাঁকে কোন যুদ্ধে পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে হয় নি।
সিংহাসনে আরোহণের পর পরই ৩০ হাজার পদাতিক সৈন্য এবং ৫ হাজার অশ্বারোহী যোদ্ধা নিয়ে দিগি¦জয়ে বেরিয়ে পড়েন। তাঁর চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল পারস্য বিজয়।
পথিমধ্যে, নিকট প্রাচ্যে পারস্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলো একে একে পদানত করে উপস্থিত হন পরাক্রমশালী পারস্য সাম্রাজ্যের সীমান্তে।শুরু হয় পারস্যের বিরুদ্ধে তার মূল অভিযান। দারিয়ুসের বাহিনীর সঙ্গে তিনটি বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয় আলেকজান্ডারের বাহিনীর। অবশেষে খ্রিস্টপূর্ব ৩৩১ অব্দে বিখ্যাত গগোমেলার (Gaugamela) যুদ্ধে দারিয়ুস চূড়ান্তভাবে পরাজিত হন। পরে তিনি সাম্রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে গেলে তার সেনাপতিরাই তাকে হত্যা করে।
এভাবেই মহাবীর আলেকজান্ডারের বীরত্ব, যুদ্ধ কৌশল ও বুদ্ধিমত্তার কাছে হার মেনে পরম পরাক্রমশালী পারস্য সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।