মানব চিড়িয়াখানা: চরম নিষ্ঠুরতার প্রতীক
বেলজিয়ামের রাজা লিওপোল্ড (১৮৮৫-০৯) ইতিহাসের এক নিষ্ঠুর রাজা
বেলজিয়ামের রাজা লিওপোল্ড মানব চিড়িয়াখানা স্থাপনের জন্য কুখ্যাত। তিনি আফ্রিকার কঙ্গোর একাংশ নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে শাসন করার ক্ষমতা পান। সেন্ট্রাল আফ্রিকার বিশাল ভূখণ্ডের নাম হয় বেলজিয়াম কঙ্গো। তিনি কঙ্গোর সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য স্থানীয়দের প্রতি অত্যাচারের স্টিমরোলার চালান। তার অত্যাচারের একটা নমুনা শুনুন।
রাবার বাগান থেকে তরল রাবার সংগ্রহের জন্য প্রত্যেক কঙ্গো বাসীর জন্য কোটা নির্ধারণ করে দেয়। কেউ কোটা পূরণ না করতে পারলে তার হাত কেটে ফেলা হতো। লিওপোল্ডকে ইতিহাসের একজন কুখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কঙ্গোর সম্পদ লুটপাট করে তিনি বিশাল বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছিলেন।
মধ্য আফ্রিকায় বেলজিয়ান কঙ্গো
কোটা মোতাবেক তরল রবার সংগ্রহে ব্যর্থ হলে শ্রমিক কিংবা তাদের বাচ্চাদের হাত কেটে ফেলা হতো।
মানব চিড়িয়াখানা
১৮৯৭ সালে নিষ্ঠুর রাজা লিওপোল্ড বেলজিয়ামে কঙ্গোর আদলে একটা মডেল গ্রাম তৈরি করে ২৬৭ জন কঙ্গোর লোকদের ধরে এনে একটা মানব চিড়িয়াখানা স্থাপন করে জনগণের প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেন। সে চিড়িয়াখানায় সাতজন কঙ্গোবাসী ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়ায় মারা যায়।
বেলজিয়ামের এই গ্রামে চিড়িয়াখানা স্থাপন করা হয়েছিল।
চিড়িয়াখানায় কঙ্গোবাসীদের কঙ্গোর পোশাক-আশাক পরিয়ে রাখা হত। দর্শকরা যেমন অন্যত্র চিড়িয়াখানায় বানর জাতীয় প্রাণীদের দেখে তেমনি মানব চিড়িয়াখানায় আফ্রিকা থেকে ধরে আনা কঙ্গোবাসীদের অতি উৎসাহের সাথে দেখতো।