প্রথমেই বলে রাখা ভাল পৃথিবীর মোটামুটি সব ইংরেজি ভাষাভাষী দেশে IELTS টেস্ট ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা নির্ণয়ের জন্য মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। SAT মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া সিঙ্গাপুরে ইংরেজি ভাষা ও গণিত শাস্ত্রের উপর ব্যুৎপত্তি নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।
GRE ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ব্রিটেন, ইউরোপ অস্ট্রেলিয়ায় নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত মানদন্ড। পৃথিবীর অনেক দেশ এ টেস্ট ইংরেজি ভাষার দক্ষতা, গণিত শাস্ত্র এবং বুদ্ধিমত্তার মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
IELTS Test
IELTS Test ইংরেজি ভাষার দক্ষতা নির্ণয়ের জন্য দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় টেস্ট। ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান, নিয়োগদাতা এবং অন্যান্য অরগানাইজেশন এই টেস্ট কে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে।
প্রতি বছর প্রায় ৩০ লক্ষের বেশি লোক এই টেস্টে অংশগ্রহণ করে থাকে। বিদেশে পড়তে কিংবা চাকরি বাকরি করতে ইংরেজি ভাষায় লিখতে, পড়তে, শুনতে এবং বলতে কতখানি দক্ষ তা নির্ণয়ের জন্য এই টেস্ট নেওয়া হয়।
আপনি যদি ইংরেজি ভাষাভাষী দেশে কোন ইউনিভার্সিটি তে পড়তে চান কিংবা পেশাগত চাকরি বাকরি করতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় টেস্ট। বিদেশে আন্ডার গ্রাজুয়েট লেভেলে পড়াশোনা অথবা মাইগ্রেট করতে চান তাহলেও এই টেস্ট দেওয়া লাগবে। অনেক কলেজেই ভর্তির জন্যও এই টেস্টকে ভর্তি প্রার্থী উপযুক্ত কিনা তা নির্ণয়ে মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করে।
IELTS টেস্ট কয়েকটি ভাগে বিভক্ত থাকে সে সম্পর্কে আগে ভাগে জানা থাকলে দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকবে না। প্রথমে আসা যাক লিখিত অংশ সম্পর্কে:
লিখিত অংশের জন্য বরাদ্দ থাকে১ ঘন্টার মধ্যে দুটো কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
প্রথম কাজ
প্রথম কাজ প্রশ্নপত্রে যেসব গ্রাফিক ইনফরমেশন দেওয়া আছে দেওয়া আছে তার ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করা। সাধারণত গ্রাফিক পাঁচ প্রকার তথ্য দেয়া হয়ে থাকে– a line graph, bar graph, pie chart, table diagram . অথবা প্রক্রিয়া বর্ণনা করে একটা ডায়াগ্রাম। ২০ মিনিটের মধ্যে ১৫০ টি শব্দে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।
দ্বিতীয় কাজ
দ্বিতীয় কাজটি প্রশ্নপত্রের দেওয়া বিষয়ের উপর বিষয়ের উপর একটা রচনা প্রণয়ন করা। ৪০ মিনিটের মধ্যে ২৫০ শব্দে রচনাটি লিখতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করতে হবে।
প্রথম কাজের চাইতে দ্বিতীয় কাজটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হাতের লেখার উপর দৃষ্টি রাখতে হবে। অস্পষ্ট হাতের লেখার জন্য নম্বর কেটে নেয়া হতে পারে।
SAT Basics
অনেক কলেজেই SAT অথবা ACT টেস্টে কত নম্বর পেয়েছেন তার উপর নির্ভর করে ভর্তি করা হয়। কলেজ থেকে নির্ধারিত নূন্যতম score এর নিচে হলে ভর্তি করা হয় না। এ টেস্টের একমাত্র উদ্দেশ্য আপনি কলেজে পড়তে কতটুকু সক্ষম হবেন তা নির্ণয় করা।
SAT একটি ৩ ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষা. যদি আপনি অপশনাল হিসাবে রচনা সিলেক্ট করে থাকেন, তাহলে আরো ৫০ মিনিট সময় দেওয়া হয়।
যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয় সেগুলো:
- Math
- Evidence-Based Reading and Writing
- Essay (optional)
- পরীক্ষার জন্য ফি দিতে হয় ৪৬ ডলার। সাথে যদি রচনা পরীক্ষা নেয়া হয় নিতে চান তাহলে ফিস এর পরিমাণ হবে ৬০ ডলার্।
- এ পরীক্ষার সর্বোচ্চ নাম্বার ১৬০০ ও গড় ১০৬০।আপনি যদি রচনা নিতে চান তাহলে একটা আলাদা স্কোরেরস ব্যবস্থা আছে।
GRE test
কম্পিউটার ভিত্তিক এ টেস্ট এর পূর্ণ নাম Graduate Record Examinations (GRE)। অনেক গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রদের সম্ভাবনা বা উপযুক্ততা যাচাই করার জন্য এই টেস্ট ব্যবহার করা হয়। এর টেস্টের জন্য সময়কাল কমবেশি তিন ঘন্টা। টেস্টের বিষয়বস্তুগুলো:
- Analytical Writing,
- Verbal Reasoning, and
- Quantitative Reasoning.
Verbal and Quantitative অংশের জন্য স্কোর থাকতে হবে ১৩০ থেকে ১৭০ এর ভিতর।গড় স্কোর সাধারণত ১৫০ থেকে ১৫২ ধরা হয়। বিশ্লেষণমূলক অংশের জন্য নম্বর বরাদ্দ রয়েছে ০ থেকে ৬;পর্যন্ত ,প্রতি ধাপে অর্ধেক পয়েন্ট করে যোগ হয়। গড় স্কোর সাড়ে তিন।