আমেরিকার কোন শহরে এক যুবক তার পিতাকে নিয়ে একটা অভিজাত রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে গেলেন। ছেলে বেছে বেছে পিতার পছন্দের খাবারের অর্ডার দিলেন।
পিতার অনেক বয়স হয়েছে। বয়স বেড়ে গেলে মানুষের অনুভূতি ক্রমশ ভোঁতা হতে থাকে, চলনে বলনে শিথিলতা এসে যায়। বৃদ্ধ পিতারও খাবার মুখে তোলার সময় শরীরে এবং কাপড়চোপড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে একাকার হয়ে গেল।
রেস্টুরেন্টের অন্যান্য কাস্টমাররা কেউ ভ্রু কুঁচকে, কেউ নাক সিটকিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করতে লাগলো। সেসব ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে যুবক তার পিতাকে যত্নসহকারে খাবার খেতে সাহায্য করলেন।
খাবার শেষে তাঁকে রেস্ট রুমে নিয়ে হাত মুখ পরিষ্কার করে, মাথার চুল ব্রাশ করে আবার নিজেদের টেবিলে ফিরে এলেন। পিতার প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা এবং যত্ন দেখে এবার সবাই স্তম্ভিত।
খাবার বিল পরিশোধ করে তাঁরা যখন রওয়ানা দিয়েছেন, তখন এক বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে যুবককে জিজ্ঞেস করলেন, বাছা, তুমি জানো কি রেস্টুরেন্টে কিছু একটা রেখে গিয়েছো? যুবক বললেন, না স্যার, আমি কিছু ফেলে যাইনি।
বৃদ্ধ আবার বললেন, তুমি রেখে গেলে সকল সন্তানের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, এবং সকল পিতার জন্য আশার আলো। তোমাকে কি করে অভিনন্দন জানাব সে ভাষা আমার জানা নেই।
বিদেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ কাহিনীটি পড়ে আমাদের পিতা-মাতা জীবিত থাকতে তাদের সেবা যত্নের প্রতি গাফিলতির জন্য আফসোস হলো। নিজেদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে সন্তানের প্রতি পিতা মাতার ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা স্মরণ করে সে অনুভূতিটা আরও তীব্র ভাবে দহন করে। দুঃখের বিষয়, সে ভুল শুধরে দেওয়ার সুযোগ এখন নেই। তারা পরকালে সুখে থাকুন সে প্রার্থনাই শুধু করতে পারি।
সংগৃহীত ও পরিশোধিত
