পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাক্ষরতার হার সম্পর্কে বেশ কয়েকটি সংস্থা থেকে তথ্য প্রণয়ন করা হয়েছে। সেসব সংস্কার একটি –World Atlas– প্রণীত তথ্য অনুযায়ী যে সব দেশে শতকরা একশত ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক লোক শিক্ষিত তাদের নাম।
অ্যান্ডোরা, ফিনল্যান্ড, ভ্যাটিকান, লাক্সেম্বোর্গ, নরওয়ে, ডিপি আর কোরিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, লিথুনিয়া, আজারবাইজান, পোলান্ড, কিউবা, তাজিকিস্তান, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন, বার্বাডোস, বেলারুশ, স্লোভাকিয়া, উজবেকিস্তান।
খেয়াল করলে লক্ষ্য করবেন এ তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির নাম নেই। নানা কারণে তারা শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন করতে পারেনি।
শতভাগ শিক্ষিত বেশিরভাগ ছোটখাটো দেশ পূর্ব ইউরোপের প্রাক্তন সোভিয়েট ইউনিয়নের বলয়ভুক্ত জনপদ। ৯০ দশকে সোভিয়েত ভেঙ্গে যাওয়ার পর স্বাধীন হয়েছে। এ তালিকায় যুদ্ধরত ইউক্রেনও রয়েছে।
তালিকার প্রথমে অ্যান্ডোরা নামে যে দেশ রয়েছে তা কোথায় অনেকেই জানেন না। আমারও জানা ছিল নাম ছিল। ইন্টারনেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দেশটি ফ্রান্স ও স্পেনের মধ্যে পিরেনিজ পর্বতমালার পদদেশে ক্ষুদ্র রাজা শাসিত স্বাধীন জনপদ। আয়তন মাত্র ৪৬৮ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা ৭৭ হাজার—ঢাকার এক মহল্লার সমান। ছোট হলে কি হবে, এখানে ট্যাক্স নেই, রিসোর্ট এবং নানা ধরনের আমোদ প্রমোদের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই, প্রতি বৎসর প্রচুর টুরিস্ট ভিড় জমায়।
শিক্ষা দীক্ষার দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়া অনেকখানি পিছিয়ে। তবে, আশার কথা শিক্ষার হার ক্রমশ বাড়ছে। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় শিক্ষার হার ছিল মাত্র ১২%।
স্বাধীনতার পর শ্রীলংকা উন্নয়ন প্রকল্পে লেখাপড়ার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল। সে কারণে শ্রীলংকার শিক্ষিত হার এ অঞ্চলে সবচাইতে বেশি। বহুদিন যাবত শ্রীলংকা অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বেশ অগ্রগতি সাধন করেছিল। কিন্তু দুর্নীতি, রাজনৈতিক টানা পড়েন, বিলাসী জীবনযাত্রা, এবং উচ্চাভিলাসী প্রজেক্টের কারণে এখন অর্থনৈতিক সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে।
পাকিস্তানের নারী শিক্ষা অবহেলার কারণে সে দেশ সার্বিক স্বাক্ষরতার হারে পিছিয়ে আছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্যের তালিকায় পাকিস্তান দ্বিতীয় স্থানে, প্রথম স্থানে আফগানিস্তান। শিক্ষা ক্ষেত্রে নারী পুরুষের বৈষম্য দূর করতে বাংলাদেশ সবচাইতে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ১৫ বছর বা তার উপরের বয়সের যে সব ব্যক্তি লিখতে অথবা পড়তে পারে তাদের সাক্ষরতার হার বিভিন্ন সূত্র থেকে ইউনোস্কো ইনস্টিউট অফ স্ট্যাস্টিকস কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যান নিম্নরূপ।
ভারত………. …৭৪.৪ (২০১৮)
বাংলাদেশ..… ৭৩.৯ (২০১৮)
পাকিস্তান …… ৫৯.১
শ্রীলংকা…… ..৯২.৬
নেপাল……… ৬৪.৭
ভুটান…….… ৬৪.৯
তথ্যসূত্র: en.m.wikipedia.org
