পুলিশ: আপনি ট্রাফিক আইন অমান্য করে ওভার স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছেন। লাইসেন্স দেখান।
ড্রাইভার: লাইসেন্স দেখাতে আপত্তি ছিল না কিন্তু লাইসেন্স থাকলে তো দেখাবো। লাইসেন্স টাইসেন্স আমার কাছে থাকে না।
পুলিশ: কী বললেন, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছেন?
ড্রাইভার: হ্যাঁ,ড্রিংক করে গাড়ি চালানোর অপরাধে চারবার লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। নতুন লাইসেন্স আবার কে দিবে?
পুলিশ: তো আমি কি আপনার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন কার্ডটি দেখতে পারি। নাকি তাও নাই?
ড্রাইভার: হাসালেন সাহেব, আপনার কাছে নতুন কথা শুনলাম। চুরি করা গাড়ির আবার লাইসেন্স? হা হা হা।
পুলিশ: বলেন কী, চুরি করা গাড়ি? আমাকে আপনি পাগল করে ছাড়বেন।
ড্রাইভার: হ্যাঁ ,ব্যাটা ত্যাদোড় মালিক সহজে দিল না, তাই তাকে খুন করে গাড়িটি নিয়ে আসতে বাধ্য হলাম।
পুলিশ:What আপনি মালিককে খুন করেছেন? হা ভগবান, আমি একি শুনছি? সকালে না হয় দুই চুমুক খেয়েছি, সে জন্যই আমি কে সত্যি শুনছি নাকি কল্পনা?
ড্রাইভার: কতটুকুন টেনেছেন জানিনা। তবে গাড়ির ট্রাংকে লাশ রাখা আছে। সেখানে অন্য একজনেরও লাশ রাখার জায়গা এখনো আছে।
এবারে ট্রাফিক পুলিশ একটু ভয় পেয়ে গেল । তিনি মোবাইলে তার সিনিয়র অফিসারকে সব জানিয়ে একটি পুলিশ টিম নিয়ে ঘটনা স্থলে আসার জন্য অনুরোধ জানালেন।
খবর পেয়ে সিনিয়র এক পুলিশ অফিসার কয়েকজন পুলিশ নিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজির হলেন এবং তাঁর পিস্তল হাতে নিয়ে গাড়ির কাছে যেয়ে ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে বললেন।
ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে বিনয়ের সঙ্গে জিজ্ঞেস করলেন ; “কোন সমস্যা হয়েছে স্যার?
সিনিয়র অফিসার: ট্রাফিক সার্জেন্ট জানিয়েছে আপনি নাকি এই গাড়ির মালিককে খুন করে গাড়ির ট্রাঙ্কের ভিতরে লুকিয়ে রেখে তাঁর গাড়ি নিয়ে পালাচ্ছেন। অফিসারকেও সেখানে শুইয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়েছেন?
ড্রাইভার: কী বলছেন স্যার আমি খুন করতে যাব কেন।
আপনি আমার গাড়ির ট্রাংক চেক করুন। আসুন আমি খুলে দেখাচ্ছি।
সিনিয়র অফিসার ট্রাঙ্ক চেক করে সেখানে কিছুই পেলেন না।
তখন বললেন , ” আপনার লাইসেন্স, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন কার্ড কিছুই নাকি নেই ” ?
এটাও কি আপনাকে ওই পুলিশ অফিসার সাহেব বলেছে আর আপনিও সেটা বিশ্বাস করলেন , একটু অপেক্ষা করুন আমি দুটোই আপনাকে দেখাচ্ছি ?
এই বলে সে পকেট থেকে তাঁর ওয়ালেট বের করে লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড দুটোই সিনিয়র অফিসারকে দেখালেন।
সিনিয়র অফিসার খুশি হয়ে বললো ” Thank you . আমার অফিসার বলছিল আপনার লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন কিছুই নেই “।
ড্রাইভার: তাহলেই দেখুন স্যার আপনার ওই পুলিশ অফিসার কী রকম বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে তো হয়রান করলোই আপনাকেও অহেতুক কষ্ট দিল।
আমি স্যার,বাজি ধরে বলতে পারি তিনি নিশ্চয় এটিও বলেছেন আমি ওভারস্পিডে গাড়ি চালাচ্ছিলাম।
সিনিয়র অফিসার: তাহলে কি আমি ধরে নেবো তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন?
ড্রাইভার: স্যার আমি বলতে চাচ্ছিলাম না। উনি নিজেই স্বীকার করেছেন, সকালবেলা দু’চূমূক টেনেছেন। মনে হয় নেশার ঘোর পুরোপুরি এখনো কাটেনি।
সিনিয়র অফিসার মৃদু হেসে বললেন, ” না ,না , it’s OK. আপনাকে অহেতুক হয়রানি করার জন্য আমি দুঃখিত। আপনি যেখানে যাচ্ছিলেন , যান প্লিজ।
ড্রাইভার: যাবার আগে স্যার আপনাকে আর একটা কথা না বলে পারছিনা।
সিনিয়র অফিসার: আরো আছে নাকি? আজকের মতো এই পর্যন্তই থাক না কেন?
ড্রাইভার হাসতে হাসতে তাঁর গাড়িতে উঠে গন্তব্যে রওনা দিলেন।
