প্রাচীন যুগে মিশরে প্রথম বালুঘড়ি এবং জলঘড়ির ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তীতে ব্যাবিলিয়নে এ ধরনের ঘড়ি ব্যবহার করা হতো। ক্রমে ক্রমে গ্রিক এবং চাইনিজরা জলঘড়ি ব্যবহার করার দিকে ঝুঁকে পড়ে। মধ্যযুগে মুসলিম শাসিত অঞ্চলে চতুর্দশ শতাব্দী নাগাদ জলঘড়ি আরো উন্নত করা হয়। এ ঘড়ির সাহায্যে অধিকতর সঠিকভাবে সময় নির্ধারণ করা সম্ভব হতো।
নৌ পরিবহন এর জন্য ব্যবহৃত বালুঘড়ি। সর্বপ্রথম মিসরে বালুঘড়ি ব্যবহৃত হয়।
সূর্যের কিরণ পরিবর্তনের সাথে সঙ্গতি রেখে তৈরি সূর্যঘড়ি আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩,৫০০ বছর আগে মিশরে ব্যবহৃত হত।
খ্রিস্টপূর্ব ২৮৫-২৪৬ সময়কাল ব্যবহৃত মিশরের জলঘড়ি। চুনাপাথর দ্বারা নির্মিত এই ঘড়িটি শিকাগো জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
গন্ধ ঘড়ি।
ষষ্ঠ শতাব্দীতে এ ধরনের ঘড়ি চীন দেশে ব্যবহৃত হতে দেখা গেছে বলে জানা গেছে। এর গায়ে বেশ কিছ চিহ্ন থাকার কারণে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ধারণা করেছেন সম্ভবত ভারতে সময় নির্ধারণের জন্য এ ব্যবস্থা প্রচলন হয়। ধুপ ধুনা পুড়িয়ে কত সময়ে তা নিঃশ্বেষ হয় তার ভিত্তিতে সময় নির্ধারণ করা হতো। ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে সাধারণত এসব ঘড়ি ব্যবহার করা হতো।
মধ্যযুগে ইউরোপে শুরু হয় মেকানিক্যাল ঘড়ি আবিষ্কারের পালা।
নদীর স্রোত এবং সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সময়ের পথ বেয়ে এখন এসেছে ডিজিটাল ঘড়ি ও আ্যঠমিক ঘড়ি।
