এটাদেখা গেছে।
ভারতে অঞ্চল বিশেষে মুন্ডু বা ভেস্তি
পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং সিন্ধু অঞ্চলে লোকজন, বিশেষ করে বয়স্ক লোকজন, লুঙ্গি পরে। কোথাও লুঙ্গি নামে পরিচিত কোথাও ধোতি। উর্দু ভাষায় বলে তহবন্দ।
লুঙ্গি পরিহিত পাকিস্তানি যুবক
ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডেও লোকজন রংবেরং লুঙ্গি পরে সবখানে বিচরণ করে।
সারং পরিহিত শ্রীলংকান পুরুষ
তবে বাঙালিরা যে স্টাইলে এবং যে ধরনের লুঙ্গি পরে সে ধরনের লুঙ্গি সে সব দেশে নজরে পড়েনি।
ইন্দোনেশিয়ার মহিলাদের সারং। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় একই ধরনের সারং পরা হয়।
ইন্দোনেশিয়ার পুরুষদের লুঙ্গি
লুঙ্গির আসল দাবিদার বাঙালিরা নয়। লুঙ্গি মায়ানমারের জাতীয় পোশাক। ছেলে, বুড়ো, মেয়ে, রাজা, সচিব, মন্ত্রী, অং সং সুচি সবাই লুঙ্গি পরেন। নেহায়েৎ দৌড়ঝাঁপ, বন্দুক, রাইফেল চালানো অসুবিধা বিধায় সামরিক বাহিনীর লোকজন ডিউটিরত অবস্থায় লুঙ্গি পরে না।
লুঙ্গি পরিহিত বার্মিজ যুবক
বেশ কয়েক বছর আগে যখন মায়ানমারের নাম ছিল বার্মা তখন সে দেশ ভ্রমণের সুযোগ হয়েছিল। সে উপলক্ষে আমার ভ্রমন কাহিনীমূলক একটা লেখা থেকে একাংশ উদ্ধৃত করা হল।
বার্মায় পৌঁছে দুটো দৃশ্য আমাদের আকর্ষণ কেড়ে নেয়। একটা রেঙ্গুনের বিখ্যাত আকাশচুম্বী শ্বেডিগন প্যাগোডা। অন্যটা রাস্তাঘাটে, অফিস-আদালতে, দোকানে, হোটেলে সর্বত্রই কোমরে পেচিয়ে লুঙ্গি পরা মানুষের অবাধ বিচরণ।
লুঙ্গি আমাদের দেশে মোটেও অপরিচিত নাম নয়। লুঙ্গির নামটা বার্মা থেকে ধার করা। তবে, লুঙ্গির বাঙালি সংস্করণ কিছুটা ভিন্ন এবং ভদ্র লোকেরা তা পরেন নিজেদের ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে। অন্য দিকে বার্মিজ লুঙ্গির রয়েছে সব খানেই সগর্ব প্রবেশ-অধিকার –সাধারণ মানুষের পর্ণকুটির থেকে রাজ প্রাসাদ পর্যন্ত। ম্যানেজার থেকে মেসেঞ্জার, ম্যাডাম থেকে তার মেইড, সবারই কটিদেশের শোভা পায় লুঙ্গি।
লুঙ্গি পরিহিত আধুনিক বার্মিজ তরুণী
এ অগনিত লুঙ্গি পরিহিত মানুষের বিচরণ দেখে প্রথম প্রথম অবাক হয়েছিলাম বৈকি। দু’দিন পরে ভিনদেশের কালচারের সাথে দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয় ঘটলে, মানুষের সহজ সরল জীবন যাত্রা ও চলাফেরার অন্তর্নিহিত অকৃত্রিম সৌন্দর্য আমাদের মন ছুঁয়ে গেল। এক টুকরো সাধারণ কাপড় পরিহিত ও তাদের মেকি আবরণ মুক্ত জীবনযাত্রা আমাদের ভালো লাগতে শুরু করে।
Photo courtesy Google’s
