April 2, 2023

বলের এবং বোলারের গতি নির্ণয়ের জন্য রাডার গান এবং স্পিডগান ব্যবহার করা হয়। তবে, ছক্কার দূরত্ব নির্ণয় করা হয় প্রধানত হক-আই যাকে বাংলায় বলা যায় ঈগল চক্ষু তা ব্যবহার করে। হক-আই ব্যবহার করা শুরু হয় টেনিস খেলা থেকে। সম্ভবত,২০১১ সালে ক্রিকেটে এ প্রযুক্তির প্রচলন করা হয়।

খেলার মাঠের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে ছয়টা ক্যামেরা বসিয়ে বোলারের হাত থেকে নিক্ষেপ করার পর বল যতক্ষণ পর্যন্ত ডেড বা স্তব্ধ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তার উপর নজর রাখে। ক্যামেরা থেকে প্রেরিত সিগন্যালগুলো ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরি করে। তা থেকে কম্পিউটার মুহুর্তের মধ্যে নির্ণয় করে বলের গতি। বলের গতিকে সময় দ্বারা ভাগ করলেই দূরত্ব পাওয়া যায়। অতি সহজ সমীকরণ d=s/t.

চলমান বলের গতি নির্ধারণের জন্য স্থাপিত ক্যামেরা।

পদার্থ বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়। ক্রিকেট বলকে মনে করতে পারি একটি ঊর্ধ্বে প্রক্ষেপিত বস্তু বা প্রজেক্টাইল। ব্যাটসম্যান বল আঘাত করলে তা কৌণিক ভাবে ঊর্ধ্বে ওঠে এবং অবতরণ করে অধিবৃত্ত সৃষ্টি করে। বলে আঘাত করার পর সৃষ্ট বক্রাকার কোণ থেকে ছক্কার দূরত্ব নির্ণয় করতে পারি। প্রযোজ্য ফর্মুলা:[R=v² Sin (2θ)/g] যেখানে: v= velocity at time of hitting g= 9.8 m/s² and θ= Angle at which ball is hit.

(Image source:Wikimedia)

হক-আইয়ের কারিশমা শুধু এখানেই শেষ নয়। লিটন দাস যখন ঝড়ের গতিতে মাঠের চারদিকে বল পাঠিয়ে অর্ধ শতক রান করে‌ কোথায় কোন পথে মাঠ পার হয়েছে কিংবা মাঠের কত দূর পর্যন্ত গিয়েছে তার জন্য তৈরি করে ওয়াগণ হুইল।

বলের গতি নির্ণয় খুবই সহজ। বোলার কোন সময় খুব দ্রুত গতিতে আবার কখন ব্যাটসম্যানকে বোকা বানাতে শ্লত গতিত বল করে। সবই হক-আই এর‌ কৃত্রিম চোখে ধরা পড়ে। Lbw এবং রান আউট এর ক্ষেত্রে আম্পায়ারের ভ্রান্তি দূর করার জন্য হক-আইয়ের ডাক পড়ে।

মোট কথা, খেলা চলাকালে বোলারের হাত থেকে বল নিক্ষিপ্ত হওয়ার পর পরই টেলিভিশনের পর্দায় যেসব অবাক করা তথ্য, ছবি ও কারুকার্য ফুটে ওঠে তার পিছনে থাকে হক-আই, কিংবা রাডার গান ও স্পিড গান এবং সহায়ক সরঞ্জামাদি।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Pin It on Pinterest