মায়া সভ্যতার ক্যালেন্ডার
পাঁচ হাজার বছর আগে খ্রিস্টপূর্ব ৩১১৩ অথবা ৩১১৪ সালে মধ্য আমেরিকার মায়া সভ্যতার সময় প্রথম ক্যালেন্ডার তেরি হয়। ক্যালেন্ডারে ২৬৫ দিন নির্দিষ্ট করা হয় পূজা পার্বণ আচার অনুষ্ঠানের জন্য। তাদের ক্যালেন্ডারে বৎসরের সংখ্যা ছিল ৩৬৫ দিন। পাঁচ হাজার বছর পরেও ৩৬৫ বছরই রয়ে গেছে। চার বছর পর পর লিপ ইয়ারে ৩৬৬ দিন হয়।
মায়া ক্যালেন্ডার ৩১১৩/১৪ খ্রিস্টপূর্ব ৩৬৫ দিনে বছর
মেসোপটেমিয়া ক্যালেন্ডার
বর্তমান ইরাক অঞ্চলের মেসোপটেমিয়া সভ্যতার সময়ে চন্দ্র এবং সূর্য গতির সমন্বয় দুটো ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয় খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে। তাদের ক্যালেন্ডারে মাস হিসাব করা হতো চন্দ্র পরিক্রমার সাথে সঙ্গতি রেখে, বছর সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর পরিক্রমণের সাথে সঙ্গতি রেখে। একটি ক্যালেন্ডারের হিসাব মতে এক মাস ৩০ দিনের হিসাবে। অর্থাৎ ৩৬০ দিন। সভ্যতা বিকাশের সাথে সঙ্গতি রেখে ক্যালেন্ডার আধুনিকায়ন করা হয়।
মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে ক্যালেন্ডার খ্রিস্টপূর্ব ৩ সহস্রাব্দ ৩৬০ দিনে বছর।
গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার
এখন দুনিয়ার প্রায় সর্বত্রই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা হয়। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অল্পস্বল্প পরিবর্তন করে ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগোরি ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে এক ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন। জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের গড় ৩৬৫.২৪২৫ দিনের পরিবর্তে ৩৬৫.২৪২২ হিসাবে বছর নির্ণয় করা শুরু হয়। যেসব বছর ৪ দিয়ে ভাগ করা যায় সেসব বছরকে লিপিয়ার হিসাবে ৩৬৬ দিন হয়। কিন্তু যেসব বছর ১০০ দিয়ে নিঃশেষে ভাগ করা যায় সে বছর লিপ ইয়ার হবে না। কিন্তু ৪০০ দিয়ে ভাগ করা গেলে সে বছর লিপ ইয়ার হবে। যেমন বিগত ২০০০ সাল।
ইসলামিক সাল
৬২৩ সালে ইসলাম ধর্মের শেষ পয়গম্বর হযরত মুহাম্মদ (দ) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করলে হিজরি সনের পত্তন হয়। হিজরী সন চান্দ্রমাসের ভিত্তিতে করা হয়। বছরে ৩৫৪/৩৫৫ দিন। এখন পুরো আরব মুল্লুকে চান্দ্রমাস হিসাবে সব দিন তারিখ হিসাব করা হয়।
ইসলামিক হিজরী ক্যালেন্ডার ৬২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৩৫৪/৫৫ দিন.
বাংলা সন
বঙ্গাব্দ, বাংলা সন বা বাংলা বর্ষপঞ্জি হল বঙ্গদেশের একটি ঐতিহ্য মণ্ডিত সৌর পঞ্জিকা ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সৌরদিন গণনা শুরু হয়। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে মোট ৩৬৫ দিন কয়েক ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হয়। এই সময়টাই এক সৌর বছর। গ্রেগরীয় সনের মতন বঙ্গাব্দেও মোট ১২ মাসে বছর। পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশে বছরের দিন গণনায় যে সামান্য হেরফের আছে।
হিন্দু ক্যালেন্ডার
হিন্দু ক্যালেন্ডার পঞ্জিকা ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কয়েকটি অঞ্চলের চালু আছে। চন্দ্র এবং সূর্যের সমন্বয়ে পঞ্জিকার পিনকন নির্ণয় করা হয়।
হিন্দু ক্যালেন্ডার পঞ্জিকা
এসব ছাড়া রয়েছে হিব্রু ক্যালেন্ডার, থাইল্যান্ডের ক্যালেন্ডার, বৌদ্ধদের ক্যালেন্ডার। আরো অনেক ক্যালেন্ডার রয়েছে। সেসব গল্প না হয় পরে জোগাড় করা যাবে।
এ ক্যালেন্ডার গুলোর তথ্য ইন্টারনেট থেকে জোগাড় করা।
