অর্থ বাজারকে ইংরেজি ভাষায় বলা হয় মানি মার্কেট। এ মার্কেটে অতি স্বল্প মেয়াদের ঋণ পত্র অথবা দায়-দেনা লেনদেন হয়। বাংলাদেশে মানি মার্কেটের মাধ্যমে সাধারণত বড় অংকের আন্তঃব্যাংক ধার-কর্জ করা হয়। একে বলা হয় কল মানি। যে কোনো সময় ফেরত চাওয়া বা পরিশোধ করা যেতে পারে। এসব লেনদেনকৃত অর্থকে ওভারনাইট (overnight) ফান্ডও বলা হয়। লেনদেনের জন্য জামানত চাওয়া হয় না।
মূলত দিন শেষে যে সব ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত অংকের প্রয়োজনের অতিরিক্ত তহবিল থাকে তাদের থেকে ঘাটতি ব্যাংকগুলো পারস্পরিক আলোচনা মোতাবেক সুদের হার নির্ণয় করে লেনদেন করে। কিছু কিছু অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন গ্রামীণ ব্যাংক মার্কেটে লেনদেন করার সুযোগ পায়।
স্বল্পমেয়াদী বলে মানি মার্কেট সুদের হার অত্যন্ত কম। যেমন গত জুলাই মাসে গড় সুদের হার ছিল ২.২%। পালা পর্বন অথবা অন্য কোন কারণে হঠাৎ মার্কেটে তরল সম্পদের অপ্রতুলতা দেখা দিলে সুদের হার চড়া হয়ে থাকে। অতীতে ৭০-৮০ পার্সেন্ট পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার রেকর্ড আছে।
পুঁজিবাজারে লেনদেন হয় স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। দীর্ঘমেয়াদী দায় বিশিষ্ট সিকিউরিটি যেমন শেয়ার সার্টিফিকেট, বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সরকারি ট্রেজারি বিল, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবেঞ্চার পুঁজিবাজারের মাধ্যমে কেনাবেচা হয়। দৈনন্দিন চাহিদা সরবরাহের টানা-পোঁড়েনে সিকিউরিটির মূল্য নির্ধারণ হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৩৮১টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। তাদের মূলধনের পরিমাণ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা।
