
যা দিয়ে পণ্য, সেবা, ভোট, ভালোবাসা কেনা যায় তাকে বলে টাকা। অর্থাৎ যে জিনিসের মাধ্যমে ক্রয় ক্ষমতা অর্জন করা যায় তাকে বলে টাকা।
আগের দিনে কড়ি, গরু, ছাগল, হাতির দাঁত, বাঘের চামড়া, সোনা রূপা তামার বিনিময়ে কেনাকাটা করা যেত। তাকে বলে টাকা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে স্বর্ণমুদ্রা, রৌপ্য মুদ্রা চালু ছিল। এখন তা বিলুপ্ত হয়ে গেছে প্রায়।
বর্তমানে ধাতব মুদ্রা এবং কাগজের মুদ্রা টাকা হিসাবে গণ্য করা হয়। তবে টাকার প্রধান ভূমিকা পালন করে ব্যাংকের ডিপোজিট যা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করা যায়। ক্রেডিট কার্ড- ডেবিট কার্ড টাকার ভূমিকা পালন করে। এর নাম প্লাস্টিক মানি।
টাকার আবার প্রকারভেদ আছে। কোনগুলি একেবারে তরল মুদ্রা। যেমন কাগজের টাকা কিংবা ধাতব মুদ্রা, ব্যাংকের কারেন্ট একাউন্টে টাকা। কোন কোন সম্পদ দ্রুত এবং সহজে টাকায় রূপান্তর করা যায় না । অর্থনীতিবিদরা এর বিভাজন করেছে M1, M2, M3…হিসাবে।
কৌশল কিংবা মেধা প্রয়োগ করে যা অর্জন করা যায় তা হচ্ছে আয়। কৌশল কিংবা মেধা না থাকলেও আয় করা যায়। জমিদার নন্দন, ধনি পিতার সন্তান বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া সম্পত্তি দিব্যি ভোগ করতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘর জামাইয়েরর ক্ষেত্রে একই কথা। এভাবে মেধা ছাড়াই আরো অনেক উপায়ে টাকা আয় করা যায়।