
দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ মোতাবেক পদ্মা ব্রিজ চালুর ফলে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ১.৬ থেকে ২ শতাংশ। বর্তমান বার্ষিক জিডিপি ৩২৬ বিলিয়ন ডলার। তার ১.৬%=৫১,২৬0 কোটি টাকা। অর্থাৎ সেতু চালু হওয়ার প্রথম বছরেই সাত আট মাসের মধ্যে দেশের অর্থনীতিতে সমপরিমাণ বাড়তি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বর্তমানে ফেরি বাবদ সরকারকে যে বিশাল অংকের ভর্তুকি দিতে হয় সে অংকের সাশ্রয় হবে। ফেরিঘাট তৈরি রক্ষাণাবেক্ষণ এবং জনবল যে অর্থ ব্যয় করা হয় তা-ও সাশ্রয় হবে।
ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় যাতায়াত সময় দুই থেকে চার ঘণ্টা কম লাগবে। প্রতিদিন বিশাল পরিমাণ শ্রমঘণ্টা সাশ্রয় হবে। ফলে উৎপাদন মূলক কর্মকান্ডে বাড়তি সময় ব্যয় করা যাবে।
ঢাকার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলির দূরত্ব প্রায় ১০০ মাইল হ্রাস পাবে। ফলে বাড়তি জ্বালানি বাবদ ব্যয় ভার সাশ্রয় হবে। যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি কম হবে। সড়কের উপর চাপ কমবে। দুর্ঘটনা কম হবে।
পারাপারের জন্য ইতোপূর্বে ফেরি লঞ্চ নৌকার স্পিড বোর্ড পানিতে ডুবে মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যাবে।
ট্রাক লরি কাভার্ড ভ্যান বর্তমানে দুই থেকে চার দিন নাগাদ অপেক্ষা করতে হয় পারাপারের আশায়। পচনশীল পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। পরিবহন ব্যয় অনেক বৃদ্ধি পায়।
দক্ষিণের জেলাগুলো তাদের উৎপাদিত দ্রব্য দ্রুত এবং স্বল্প ব্যয়ে রাজধানী এবং অন্যান্য লোকেশনে পাঠাতে পারবে।
দক্ষিণ অঞ্চলে কৃষি কর্মকাণ্ড এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। তাদের উৎপাদিত দ্রব্যের সঠিক মূল্য পাওয়ার ক্ষেত্র প্রসারিত হবে। রাজধানীর লোকজন উপকৃত হবে।
ফেরিঘাটে হয়রানি ঘণ্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা শারীরিক ও মানসিক অশান্তির কারণ। ফেরিঘাটের কর্মচারী কর্মকর্তা এবং টাউট বাটপার বিরক্তির একশেষ করে ফেলে। সিরিয়াল পেতে টাকা, সমিতির টাকা এবং আগে গাড়ি ওঠাবার সুযোগ দেওয়ার জন্য ঘুষ। ফেরি কর্মচারীদের রাজা মহারাজাদের মত আচরণ। ঝড়-ঝঞ্ঝা কুয়াশা হলে তো কথাই নেই। নোঙ্গর ফেলে বসে থাকো দুই দিন।
পরিচ্ছন্ন টয়লেটের অভাবে পূর্বে অনেককেই দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব চেপে রাখত। এর ফলে কিডনির উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে, বিশেষ করে মহিলাদের যারা যাত্রার প্রাক্কালে ভয়ে পানি খাওয়া বন্ধ রাখে।
Nice thought. I agree with the writer.