
মেট্রিক সিস্টেম প্রবর্তন শুরু করে ফ্রান্স ১৭৯০ সালে। তখন থেকেই আমেরিকানদের সে সিস্টেম গ্রহণ করার প্রতি অনীহা দেখা দেয়। তারা ব্রিটিশ ইম্পেরিয়াল সিস্টেমেই আঁকড়ে থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এখন কেবল অন্য ছোটখাটো দুটি রাষ্ট্র– বাড়ির পাশে মায়ানমার এবং আফ্রিকা মহাদেশের লাইবেরিয়া– মেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা থেকে বিরত রয়েছে।
আমেরিকার অনিচ্ছার প্রধান কারণ, সময় এবং অর্থ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি মূল্যবান এবং জটিল উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মেশিনপত্র।
পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের ভোগ্যপণ্য এবং অন্যান্য ক্যাপিটাল মেশিনারি পুরানো সিস্টেম অর্থাৎ ইম্পেরিয়াল সিস্টেমের মাপজোক ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। অগণিত লোকবল তা পরিচালনার জন্য ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাটে অগুনতি মাইলফলক, দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এত সব বিশাল কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আনতে যেমন সময় লাগবে তেমনি বিশাল ব্যয় ভারের বোঝা টানতে হবে।
আমেরিকান পার্লামেন্টে বেশ কয়েকবার পরিবর্তনের বিষয়টি আলোচনায় আনা হয়েছিল। বড় বড় ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং আমেরিকান জনসাধারণের বিরোধিতার মুখে সে প্রচেষ্টা বানচাল হয়ে যায়। তারা এত ব্যয়ভার এবং ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে রাজি নয়।
আমেরিকানদের উন্নাসিক মানসিকতাও একটা বড় কারণ। তারা মনে করে যুক্তরাষ্ট্র দুনিয়ার নেতা, অন্যরা তাদের অনুসরণ করবে, আমেরিকা কেন তাদের পিছুপিছু চলবে? একই মানসিকতার কারণে, আমেরিকানরা ইংরেজি ভাষায় নিজেদের মতো গড়ে পিঠে ব্রিটিশদের থেকে অনেকখানি আলাদা করে ফেলেছে।
তবে স্কুলে দুটো সিস্টেমই পড়ানো হয়। তাদের রোলারে গজ ফুট ইঞ্চির পাশাপাশি মিটার সেন্টিমিটার মিলিমিটার চিহ্নিত করা থাকে। আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রয়োজন মোতাবেক আন্তর্জাতিক মেট্রিক সিস্টেম ব্যবহার করে।